• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

ক্রিকেট

ফাঁস হওয়া ফোনালাপে কী বলেছেন তামিম-মিরাজ?

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ মার্চ ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক: 

গেল কয়েক মাস ধরেই সংবাদের শিরোনামে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মধ্যকার বৈরী সম্পর্ক। গত এক বছরে মাঠের সাফল্য-ব্যর্থতার গল্প ছাড়িয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সাকিব-তামিম ইস্যু।

রহস্যময় ইনজুরি, অবসর-অবসরে ভেঙে জাতীয় দলে ফেরার নাটকীয় আভাস, বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে ছিটকে যাওয়াসহ নানান কারণে আলোচনায় ছিলেন তামিম। এ ছাড়া নানানভাবে ড্যাশিং এই ওপেনারকে জাতীয় দলে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-বিসিবি।

এরই মধ্যে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন দাবি করেছে, তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের মধ্যকার ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে এবং সেটা পেয়েছে তারা। সেই ফোনালাপে তামিমকে সতীর্থ মিরাজের সঙ্গে কথা বলছে দেখা যায়। ফোনালাপে তামিমকে বিপিএল শিরোপাজয়ী ফরচুন বরিশালের এই সতীর্থের কাছে দলটির আরেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মুশফিকুর রহিমের নামে বিষোদগার করতে দেখা গেছে।

তবে কী আছে, সেই ফোনালাপে! ক্রীড়াপ্রেমীদের মাঝেও সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। আর এর নেপথ্য কারণ-ই বা কি হতে পারে।

পাঠকের সুবিধার্থে ফোনালাপটি তুলে ধরা হলো :

তামিম: ‘হ্যালো, মিরাজ?’

মিরাজ: ‘হ্যাঁ, তামিম (ভাই)। আসসালামু আলাইকুম।’

তামিম: ‘কী অবস্থা রে, কেমন আছিস?’

মিরাজ: ‘এই তো আলহামদুলিল্লাহ (ভাই)। আপনি কেমন আছেন?’

তামিম: ‘কেমন থাকি রে? মুশফিক এটা কোনো কাজ করছেরে মিরাজ?’

মিরাজ: ‘(ভাই), শুনলাম আমিও। সে জিনিসটা… ঠিক আছে… এখন কী করবেন।’

তামিম: ‘না, এটা তো একটা... লাস্টে আমাদের… ফাইনালের পরে আমাদের মিটিংয়ে কী কথা হইছে? আমি তোরে ওই সময় একটা কথা বলছিলাম না যে আমরা চেষ্টা করব যে ৭০ থেকে ৮০ পারসেন্ট আমরা যেন সেইম টিম থাকতে পারি। ঠিক আছে? আর এই কথার আমার বেইসই ছিল তুই মুশফিক সবসহ। ঠিক না?’

তামিম: ‘মুশফিক আমার জন্য ইম্পরট্যান্ট একজন ছিল। সে করছেটা কী শোন। সে আমার সাথে তো কথা বলেই নাই, সে বলে এখন আলাদা একটা টিম বানাচ্ছে। শুনছস এটা?’

মিরাজ: ‘আমি একটু হালকা একটু শুনেছিলাম বাট হান্ড্রেড পারসেন্ট কনফার্ম ছিলাম না। বাট আপনি এখন যেটা বললেন আমি তো এখন হান্ড্রেড পারসেন্ট শিওর হলাম যে (ভাই) মনে হয় আলাদা টিম বানাচ্ছে।’

তামিম: ‘না, (ভাই) মিরাজ, তুই দেখছস… আমি ওরে কী ধরনের ফ্রিডম দিছি পুরা টিমে, হ্যাঁ? আমি ওরে দায়িত্ব দিছি পুরা টিম চালানোর। খেলা শেষ হইছে, খেলা শেষে আমি সবচেয়ে বেশি ওরে প্রেইজ করছি। আমি এখন পর্যন্ত ওরে প্রেইজ করি যে সে পুরা টিমটা হ্যান্ডেল করছে, তার কন্ট্রিবিউশনটা কত বেশি। সে এই মুহূর্তে আমাকে এই রকম মাঝপথে ছেড়ে যাওয়াটা কি উচিত ছিল?’

মিরাজ: ‘এখন কী করবেন (ভাই)? এখন (ভাই) গেছে। এখন সে তো আপনারই ফ্রেন্ড।’

তামিম: ‘আরে না। এখন তোদের সাথে নাই, খেলি না তো ন্যাশনাল টিমে, এখন অনেকের অনেক ভাবটাব বেড়ে গেছে। এটা হলো সমস্যা। ঠিক আছে।’
মিরাজ: ‘ভাই?’

তামিম: ‘কারণ হলো, যখন তোদের সাথে খেলতাম, ক্যাপ্টেন থাকলে তো আর এরকম তোরা করতে পারতি না। এখন আমার দাম নাকি, দাম কমে যাচ্ছে দেখে তোরা এসব করতেছস।’

মিরাজ: ‘(ভাই) শোনেন… রাগ কইরেন না। প্লিজ। কারণ, কী (ভাই), আপনি তো জানেন মুশফিক (ভাই) সম্পর্কে। সে তো একটু ইমোশনাল। হতো ইমোশনাল হয়ে…’

তামিম: ‘ছোটবেলা থেকে ও আমার ফ্রেন্ড। ও একবার আমাকে অ্যাটলিস্ট বলত চলে যাওয়ার আগে। অ্যাটলিস্ট তখন তো আমার একটু শান্তি হইতো যে, না অ্যাটলিস্ট বলে গেছে। অসুবিধা নাই মিরাজ। সময় আমারও তো আসবে। পৃথিবী গোল কিন্তু… শুনে রাখ মিরাজ। একটা কথা শোন… পৃথিবী গোল… আজকে তুই ওই সাইড, আমি এই সাইড। কালকে আমি ওই সাইডে বসব, তুই ওই সাইডে আসবি। ভুলে যাইস না। আর তোর বড় ভাইরেও বলে দিস।’

মিরাজ: ‘(ভাই) আপনি রাগ কইরেন না, ঠান্ডা হন। আমি দরকার হলে তার (ভাইয়ের) সাথে…’

তামিম: ‘তুই দেখ আমি কী করি। আমি কথা কবনে তোর সাথে। এ ব্যাপারে কথা কব। জিনিসটা, কাজটা ও কোনোভাবেই ঠিক করে নাই।’

মিরাজ: ‘না (ভাই), কিছু করার দরকার নাই। কিছু করার দরকার নাই।’

এই পর্যায়ে কলটি কেটে যাওয়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। তবে কীভাবে এমন ফোনালাপ ফাঁস হয়, সেটা নিয়েও নানান প্রশ্ন রয়েছে। এদিকে ফোনালাপ কাটা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, বিষয়টি ফাঁস হয়ে থাকলে তা মিরাজের প্রান্ত থেকে হয়েছে। অন্যদিকে সূত্র বলছে, কথিত এই ফোনালাপটি মূলত একটি ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের অংশ।

এর আগেও, তামিম ও সাকিবের মধ্যকার দ্বন্দ্বের চূড়ান্ত পর্যায়ে বিশ্বকাপের আগে তাদের নিয়ে একটি বিজ্ঞাপন বানিয়েছিল ওই প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে দেশসেরা এই দুই ক্রিকেটারের মধ্যে সৌহার্দ্য দেখানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads